অনিয়ম দুর্নীতি ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগ বানিজ্য বন্ধের দাবী এলাকাবাসী
মোঃ এহছান এলাহী স্টাফ রিপোর্টার
অনিয়ম দূর্নীতি, গোপনে মোটা অংকের আর্থিক লেনদেনসহ অত্যান্ত গোপনীয়তার সহিত নিয়োগ বানিজ্য করছে মর্মে একটি মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। উক্ত নিয়োগ বানিজ্য বন্ধের দাবীতে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নবনির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলতাফ হোসেন সাক্ষরিত পরিপত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষিকা ও স্বল্প সময় থাকা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কর্তৃক গোপন যোগসাজশে তড়িঘড়ি করে নিকটাত্মীয়ের নিকট মোটা অংকের আর্থিক দেনদেনের মাধ্যমে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে মর্মে জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও নির্বাহী অফিসার বরাবর গণসাক্ষরিত মাক্স পিটিশন প্রদানের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার আহবান জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ঘটনাটি জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সোনাকুড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের। সরজমিনে অত্র এলাকায় গেলে শাহিন মিয়া, শামীম ইসলাম ও সামসুল আলম জানান, দাতা সদস্যসহ আমরা এলাকাবাসী কেউ জানি না আমাদের এই ঐতিহাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এরশাদ আলম জানান, প্রধান শিক্ষিকা ও মেয়াদোত্তীর্ণ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল হাসান সিরাজ বিপ্লব গোপন যোগসাজশে প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা না করে নিজেরাই মনগড়া প্রার্থীর নিকট আর্থিক ভাবে সুবিধা নিয়ে নিয়োগ বানিজ্য করার অপচেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে নব-নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলতাফ হোসেন গণমাধ্যম অভিযোগ করে বলেন, আমরা নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যবৃন্দ আদৌ জানিনা আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। সভাপতি আবুল হাসান সিরাজ বিপ্লব সাহেব আর মাত্র হাতেগোনা কয়েকটি দিন ওই পদায়নে আছেন। তাই আমাদেরকে অবগত না করে প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে গোপন আতাত করে তড়িঘড়ি নিয়োগ বানিজ্য করার অপচেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় সোরগোল শুরু হয় এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার উপলক্ষ প্রতীয়মান। এ জন্য আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন করবো এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যাতে অনৈতিক পন্থায় কুচক্রী মহল নিজ স্বার্থ স্বীদ্ধির জন্য নিয়োগ বানিজ্য করতে না পারে। অন্যদিকে সভাপতি আবুল হাসান সিরাজ বিপ্লব গণমাধ্যমকে জানান, সব এলাকায় প্রতিপক্ষ থাকে। আমরা নিয়ম মেনেই নিয়োগ দিচ্ছি। আমাদের প্রসেস অনুযায়ী আমরা সব কিছুই করছি এবং ডিজির প্রতিনিধি চেয়ে আবেদন করছি। তাছাড়া বিজ্ঞাপন দেখে অফিস সহায়ক পদে ৮ জন ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ৬ জন আবেদন। সময় অনুযায়ী পরিক্ষার মাধ্যমে ২টি পদে নিয়োগ সম্পূর্ণ করা হবে। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষিকা আঞ্জুমান আরা বেগম গণমাধ্যমকে জানান, নিয়োগ দেওয়া হবে এ জন্য পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অর্থ লেনদেন এই বিষয়ে কোন প্রকার আলোচনা কিংবা প্রচেষ্টা করা হয়নি।প্রধান শিক্ষিকা আরো বলেন এমতাবস্থায় পরিস্থিতি যদি শান্ত থাকে আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যদি মনে করে পরিস্থিতি শান্ত কিংবা কাগজপত্র সঠিক থাকে তাহলে এই নিয়োগ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ.টি.এম নুরল আমীন শাহ্ গণমাধ্যমকে জানান, নিয়োগ বন্ধের দাবীতে আমার অফিসে একটি অভিযোগ এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া সময় স্বল্পতার কারনে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্ভব নয়। আর ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির তো আর মাত্র ৭টি দিন অবশিষ্ট। এমতাবস্থায় কোনমতেই এ নিয়োগ দেয়া সম্ভব নয়।