আদালতে করা নারী নির্যাতন মামলায় মোংলা বন্দরের হারবার বিভাগের ওয়ার্লেস অপারেটর (বেতার বার্তা) মোঃ শাহীনুল ইসলাম কে গ্রেফতার করে জেল জাহতে পাঠিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে পৌর শহরের মার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে বুধবার দুপুরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। বিয়ের সময় যৌতুক নিয়েও পুনরায় মটর সাইকেল কেনার জন্য টাকা চেয়ে না পেয়ে স্ত্রীকে বেদরক মারধর ও সাররীক নির্যাতন করতো স্বামী শাহীনুল ইসলাম। সেই নির্যাতন সয্য করতে না পেরে মোংলা থানায় মামলা করেণ স্ত্রী ফাতেমাতুজ জোহরা।
মামলা সুত্রে পুলিশ জানায়, বন্দর কর্তৃপক্ষের ওয়ার্লেস অপারেটর শাহীনুল ইসলাম এবং তার মাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে স্ত্রী ফাতেমা তুজ জোহরা (২৪) বাদী হয়ে মোংলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এই মামলার প্রধান আসামী হলেন স্বামী শহীনুল ইসলাম। ২০২২ সালের প্রথম দিকে পৌর শহরের সিঙ্গাপুর মার্কেটের ব্যাবসায়ী তোফায়েল আহাম্মেদ’র মেয়ে ফাতেমারতুজ জোহরার সাথে বিয়ে হয় বন্দর এলাকার অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু তাহেরের ছেলে শহীনুল ইসরামের সাথে। বিয়ের পর ২০২২ সালের ২৫ ডিসেম্বর শাহীনুল ইসলাম ব্যবসায়ী শ্বশুর তোফায়েল আহমেদের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ধার নেয়। সেই টাকা না দিয়ে কিছুদিন পর মটর সাইকেল কিনবে বলে তার স্ত্রী ফাতেমাতুজ জোহরার মাধ্যমে আরও সাড়ে তিন লাখ টাকা যৌতুক চায় সে। স্ত্রী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত বছর ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই রাতে দেড় বছরের মেয়েসহ তাকে মারধর ও সাররীক নির্যাতন করে ঘর থেকে বের করে দেয় শশুর বাড়ির লোকজন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। আর এ নির্য়াতনের সহযোগীতা করেন শাহীনুল ইসলামের মা আনোয়ারা বেগম (৫৩), ছোট বোন শারমিন আক্তার (১৯), শামীমা নাসরিন আক্তার ঝুমুর (৩৫) ও তার জামাই আনোয়ারুল আজিম (৪৩) সহ কয়েকজন। পরে পাঁচজনকে আসামি করে মোংলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন শাহীনুল ইসলামের স্ত্রী ও তোফায়েল আহাম্মেদের মেয়ে ফাতেমাতুজ জোহরা। এই মামলায় মঙ্গলবার রাতে শাহীদুল ইসলাম শহরে আসলে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট জেল হাজতে পাঠানো হবে বলেও জানায় থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম আজিজুল ইসলাম।
এ বিষয়ে শাহীনুল ইসলামের বাবা মোংলা বন্দরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, মারধর বা নির্যাতন করা হয়নী, তবে স্বামঅ-স্ত্রীর মধ্যে বুনি-বোনাদ না হওয়ায় প্রায়ই ঝগড়া করতো দুজনে। তবে তার মেয়ে ও স্ত্রী এবং মেয়ে জামাইকে অহেতুক ভাবে মামলায় ফাসানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার সাইফুর রহমান ভূইয়া বলেন, ওয়ার্লেস অপারেটর শাহীনুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে এবং সে মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে শুনেছি। যেহেতু গ্রেফতার হয়ে জেলা হাজতে গেছে, এখন তার বিরুদ্ধে বন্দরের বিধি মোতাবেক প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় বন্দরের এ কর্মকর্তা।