মোংলায় রমজান মাসে মেলার নামে চলছে রাতভর গান-বাজনা ও অশ্লীল নৃত্য নীরব প্রশাসন
মোংলা প্রতিনিধি
মোংলায় ঐতিহ্যবাহী চাঁদপাই মেশেরশাহ মেলা শুরু হয়েছে ১৬ মার্চ থেকে। সপ্তাহ ব্যাপি এ মেলার প্রথম দিন থেকেই মেলা প্রঙ্গনে চলছে মদ-জুয়া, অশ্লীল নৃত্য উচ্চ শব্দে গান-বাজনা। আর এসকল কার্যকলাপের পাহারায় থাকেন প্রশাসনের সদস্যরাও। ইমাম পরিষদ বলছে, রমজানের পব্রিততা রক্ষার্থে মেলা বন্ধের আবেদন করলেও সারা মেলেনী, এতে ব্যাহত হচ্ছে রমজানের পবিত্রতা, বিরম্ভনায় পরছে রোজাদার ব্যাক্তিরা। আর অনুমতি না দিলেও মুসলিম রাষ্টে হিসেবে অশ্লীল ও বেহায়াপনার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার আশ্বস উপজেলা প্রশাসনের।
প্রতি বছরই মোংলা উপজেলার চাদঁপাই ইউনিয়নের মেশের শাহ মেলা নামে সপ্তাহ ব্যাপি একটি মেলার আয়োজন করেন ইউপি চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় কর্তা-ব্যাক্তিরা। তবে এবছর রমজান মাস হওয়ায় মেলাটি রমজানের আগে অথবা পরে দেয়ার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেন করেণ মোংলা ইমাম পরিষদের সভাপতি-সম্পাদক সহ পরিষদের নেতৃবৃন্দরা। কিন্ত সেই আবেদন নাখোজ করলেন প্রভাবশালী আয়োজক কমিটি বলে জানায় ইমাম পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাওলানা রেজাউল করিম।
১৬ মার্চ শনিবার রাতে সরজমিনে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, মেলার প্রধান ফটকেই বসা থাকে পুলিশ। একটু দূরে অর্থাৎ দক্ষিন দিকে কাপড়ে মোড়গানো ছোট ছোট ঘর তৈরী করে বসেছে মদ-জুয়ার আসর। আর পাশেই চলছে ভক্তদের নাচ নামের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিতে নারী-পুরুষের গান ও নৃত্যের আসর। পুলিশের উপস্থিতিতে নির্বিঘ্নে চলছে এসব অসামাজিক কার্যকলাপ। অনুমতি বা নিরাপত্তার কোন ব্যাবস্থা না নিয়েই বহাল তবিয়তে মোটা অংকের টাকার বিনিময় চলছে চুক্তিভিত্তিক নৌকার দোলনা ও বেশ কয়েকটি নাগোরদোলা। এতে চরে বসে ছোট ছোট শিশু ও নারী-পুরুষরা। দোল খাওয়ার সময় দাড়েিয় উল্লাসও করতে দেখা গেছে অনেককেই। এতে মাজায় বেল্ট অথবা নিরাপত্তার কোন ব্যাবস্তা না থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঘটার সম্ভাবনা দেখছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণে উচ্চ শব্দে করা হচ্ছে গান বাজনা, জুয়া ও অশ্লীলতাসহ নানা অসামাজিক কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন স্থানীয় বসবাসকারীরা। কিন্তু প্রভাবশালী আয়োজক কমিটির ভয়ে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ বা কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না। শুধু মুখ বুঝে সয্য করছে রমজান মাসে চলা এ সকল অপরাধ মুলক কার্যকলাপ বলে জানায় স্থানীয়রা।
জানা যায়, মদ-জুয়া ও অশ্লীল নৃত্য পরিচালনার জন্য আয়োজক কমিটি বিভিন্ন মহলে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছেন। শর্তজুড়ে দেওয়া অনুমতি লংঘন করে চলছে এ মেলার কার্যক্রম। একদিকে চলছে রমজান মাস, সামনে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মেলার নামে বেহায়াপনায় বেশী বিরম্ভনায় পরছে রোজাদার ব্যাক্তিরা আর ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। মেলায় গিয়ে ভিড়ের মধ্যে পরে আবার অনেকে খুয়েছে মোবাইল সহ মুল্যবান জিনিস পত্রও।
মোংলা উপজেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাওঃ রেজাউল করিম বলেন, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মেলা বন্ধের অবেদ করেও সারা না মেলায় অসহায় ইমাম পরিষদ, তবে রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষায় মেলায় এমন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে তিব্র নিন্দা ও ঘৃর্না জানায় তারা।
এ ব্যাপারে কথা জানার জন্য আয়োজ কমিটির সভাপতিকে না পেলেও এ কমিটির অন্যতম সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ আজিজুল শেখ জানায়, চাদঁপাই মেলায় অনেক দুর দুরন্ত থেকে মেশের শাহ এর ভক্তরা আসে। তাই যে যেরকম তাকে ডেকে পায় সেরকমই গান-বাজনার মাধ্যমে মেশের শাহ কে ডাকে ভক্তরা। এখানে আমাদের কিছুই করার নাই। সব কিছুই দেখা-শুনা করছে কমিটির সভাপতি, এ ব্যাপারে আমরাও অসহয়।
মোংলাা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, আমাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার কোন অনুমতি দেয়া হয়নী, মেলা বসানো বা পরিচালনা করা সব দায়ভার কমিটির উপর। তার পরেও মেলার নামের নিষিদ্ধ বা অশ্লীলতা কার্যক্রম চললে আমি সরে জমিনে গিয়ে ব্যাবস্থা নিবো বলেও জানায় এ কর্মকর্তা।