রামপাল প্রতিনিধি
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে কৃষকের ঘের ও ফসলি জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাট ঘটেছে রামপালের চাদপুর গ্রামে।অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নামধারী এক নেতা ক্ষমতার পালাবদলের পরেই ঘের ও আবাদি জমি জোরপূর্বক দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করছে এমনকি প্রানে মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে । এ ঘটনায় জমির মালিক ভূক্তভোগী ক্রয়কৃত জমির সঙ্গে কেন্দ্র করে চাদপুর গ্রামের আঃ রশিদ শেখের পুত্র মোঃ আছাদুর রহমানের সম্পত্তিও তারা দখলে নেয়ার পায়তারা করছে। তার ক্রয়কৃত জমির পাশ দিয়ে দাকোপা নদী বহমান হওয়ায় নিজ সীমানা প্রাচীর ছেড়ে দিয়ে নদীর জলাবদ্ধতা নিরাশনের জন্য খালের জাল পাটা উম্মুক্ত করেছেন। এব্যাপারে চাঁদপুর গ্রামের আছাদুর রহমান ক্রয়কৃত জমি উদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটা অভিযোগ দায়ের করেন। চাঁদপুর মৌজার বিআরএস ৭১৫, ৪৩০, ও ২০০ খতিয়ানের দাগ নং-১৫৭০, ১৫৭১, ১৫৭২, ১৫৭৩, ১৫৭৮, ১৫৭৯, ১৫৮০, ১৫৮১, ১৫৮২। ১.২৭ একর এর মধ্যে ক্রয়কৃত ১.০৮ একর এবং আপোষ বন্টক আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারা মোতাবেক নোটিশ জারি করেন। জোর পূর্বক জমি দখলদার নামধারী বিএনপির নেতা ইসমাইল দলের প্রভাব খাটিয়ে ভুক্তভোগী আছাদুর রহমানকে প্রাণ নাশের হুমকি ও দেয়। এছাড়া খালের দুই পাশে জাল পাটা দিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে এতে এলাকার সাধারণ জনগণ পানি জলাবদ্ধতায় ভুগছেন।আছাদুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিককে জানান ১৫৭৮ ২ দাগের ১১.১৮ ও ১৭ শতাংশ মোট ২৮.১৮ শতক জমি ভোগ দখলে করে আসছি আমি কোথাও কোনো সরকারি জমি খাচ্ছি না। এব্যাপারে অভিযুক্ত ইসমাইলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন উপজেলা ভূমি নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে খালের ভিতরে পাটা দিয়ে ঘের করার জন্য অনুমতি দিয়েছেন । ভুমি সহকারী কর্মকর্তা আফতাব আহমেদ এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি আমি কাউকে সরকারি খালে পাটা দিয়ে ঘের করার জন্য অনুমতি দেয়নি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং দুই পক্ষকে বলে বর্ষা মৌসুমে সরকারি খালের পানি ও জলাবদ্ধতা যাতে সৃষ্টি না হয় তার নির্দেশ দিয়েছি।শুকনো মৌসুমে দুই পক্ষের কাগজপত্র যাচাই শেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।