ঢাকা | ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ - ৪:১৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

মোংলায় পাওনা টাকা চাওয়ায় দিন মজুরকে কুপিয়ে জখম

  • দৈনিক নবিন আলো প্রতিদিন
  • আপডেট: Thursday, March 7, 2024 - 2:58 pm
  • Shobhan Hossain
  • পঠিত হয়েছে: 175 বার

মোংলা প্রতিনিধি

মোংলায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে এক দিন মজুরকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। বুধবার রাতে বদ্যৈমারী বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। পথচারীরা অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে মোংলা থানা পুলিশের একটি দল। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় পুলিশ।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী জানায়, বেশ কিছু দিন আগে সুন্দরবন ইউনিয়নের বাশতলা গ্রামের মোঃ শহিদ শিকদারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার নেয় একই এলাকার প্রতিপক্ষ মৃত আমির আলী মোছাল্লীর ছেলে মিজান মুছল্লী। কিন্ত সেই ধারের টাকা চাইতে গেলে না দেয়ার ছলে আজ-কাল বলে ঘুরাতে থাকে। এ নিয়ে পাওনাদার শহিদ শিকদার স্থানীয় কয়েকজনের কাছে মিজান মুছল্লীর বিরুদ্ধে বিচার জানায়। পাওনা টাকার কেন বিচার দেয়া হলো এনিয়ে সে আরো ক্ষিপ্ত হয় শহিদ সিকদারের উপর। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহিদ সিকদার সার্ংসারিক বাজার করে বৈদ্যমারী থেকে বাড়িতে আসার পথে পুর্বে থেকে ওতপেতে থাকা মিজান মুছল্লী সহ ৪/৫ জন সন্ত্রাসী মিলে শহিদ শিকদারকে পিছন থেকে দাও দিয়ে আগাত করে। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পরলে সকলে মিলে তাকে বেদরক মারপিট করে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। পরে তার ডাক চিৎকারে পথচারিরা এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মোংরা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে মোংলা থানা পুলিশের একটি দল। এ নিয়ে বড় ভাই মোঃ ফিরোজ শিকদার বাদি হয়ে মৃত আমির আলী মোছাল্লীর ছেলে মোঃ মিজান মোছল্লী ও মোঃ আফজাল মোছাল্লী, মোঃ উজ্জত মোছাল্লীর ছেলে মোঃ সুমন মোছাল্লী ও মোঃ আফজার মোছাল্লীর ছেলে মোঃ রাজু মোছাল্লী সহ কয়েকজনকে আসামী করে মোংলা থানায় এজাহার দাখিল করে। এ ঘটনা নিয়ে থানায় মামলা রুজুর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানায় পুলিশ।

মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাশতলা এলাকায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারীর ঘটনা ঘটেছে। থানায় দেয়া অভিযোগ হাতে পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। মামলা রুজু ও আসামী গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানায় জানায় থানার এ কর্মকর্তা।