ঢাকা | ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ - ৮:২৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

মোংলার ঐতিহ্যবাহী ঠাকুরানী খাল উদ্ধারে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

  • দৈনিক নবিন আলো প্রতিদিন
  • আপডেট: Thursday, February 29, 2024 - 8:11 am
  • Shobhan Hossain
  • পঠিত হয়েছে: 153 বার

মোংলা প্রতিনিধি

মোংলায় দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা ঠাকুরানী ও মধুর খাল উদ্ধারে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ খাল দুটির পরিচ্ছন্নতা অভিযান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান। সাথে রয়েছে পৌর সচিব সহ পৌর প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

সুত্রে জানায়, মোংলা পোর্ট পৌরসভার শহরের প্রাণকেন্দ্র মাদ্রাসা রোড়ের শুরুতেই সরকারী রেকর্ডিয় প্রবাহমান ঠাকুররানী ও মধুর খাল। শহরকে জোয়ারের পানির প্লাবন থেকে রক্ষায় পৌর কর্তৃপক্ষ প্রায় ৫ বছর আগে এ খালের গোড়ায় স্লুইচ গেট নির্মাণ করেছে। এতে করে জোয়ারের পানির প্লাবন রোধ হলেও খাল দুটির প্রবাহমান না থাকায় ইতিমধ্যে পলি পড়ে ভরাট হয়ে এর নাব্যতা হারিয়েছে। এ ছাড়া এক শ্রেণীর ক্ষমতাশীন ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ইতিমধ্যে ২টি খালের পাড়ের বড় একটি অংশ নিজেদের দখলে নিয়ে অবৈধ কাচাঁ-পাকা স্থাপনাও তৈরী করেছে। এতে করে বর্ষার সময় খাল সংলগ্ন শহর এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। এছাড়া ময়লার দুর্গন্ধ আর মশা মাছির উৎপাতসহ পরিবেশ দূষণের কবলে পড়ে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

তাই পৌরবাসীর সেবা হিসেবে বন্দর নগরী মোংলা শহরের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্রে মোংলা পৌর শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত দীর্ঘদিন যাবত পরিত্যক্ত এ খাল দুটি উদ্ধারে উদ্দ্যোগ নেয় পৌর কর্তৃপক্ষ।

গার্লস স্কুল সংলগ্ন থেকে শুরু করে মোংলা ঘষিয়াখালী চ্যানেল পর্যন্ত দুটি খালের প্রায় ১০ কিলোমিটার পরিষ্কারে কাজ শুরু করে। সহযোগিতায় আছে প্রায় শতাধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী, পৌরসভার ময়লা বহনকারী ট্রাক ও বেকু গাড়ী সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। তাই অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে খালটি দখলদার মুক্ত ও পুনঃ খননের মধ্যে দিয়ে এর পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধ শেখ আঃ রহমান বলেন, পৌর শহরের মধ্যদিয়ে প্রবাহমান দুটি খাল দীর্ঘদিন পরিত্যাক্ত অবস্থায় পরেছিল। এছাড়া পৌরবাসীর দাবীর মুখে এর পরিস্কার পরিছন্ন অভিযান শুরু করা হেয়েছে। যতদিন পর্যন্ত খাল দুটি পনির প্রবাহমান সঠিক না হয়, ততদিন পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত তাকবে। এছাড়া, সরকারী খালের পাড়ে যারা দখল করে স্থাপনা তৈরী করেছে তাদের প্রথমিক পর্যায় তাগিদ দেয়া হবে। যদি স্থাপনা সড়িয়ে না নেয় তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিবে পৌর কর্তৃপক্ষ বলে জানায় পৌর মেয়র।